কি ভাবে চালাকি করে কথা বলবে Know how to speak by cleverness






🙏

14 technique to make a good speaker 




কথা তো সবাই বলে কিন্তু কথা বলার মতন কথা বলা একটা কৌশল। শিশু জন্মের পর কথা বলতে শেখে না, তারা আমাদের দেখে কথা বলতে শেখে, ভাববিনিময় করতে শেখে। কথাবলার মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রয়জন গুলো পূরণ করি। একটা কথাই সম্পর্ক তৈরি হয় আর একটা কথাতেই সম্পর্ক নষ্ট হয়।

আমাদের শব্দে এতটাই শক্তি আছে যাতে করে আপনি করোর জীবন তৈরি করতে পারেন, আবার কারোর জীবন শেষ করতে পারেন। শব্দের এতটাই শক্তি যে আপনার সব দুঃখ দূর করতে পারে ও আপনার সব হাঁঁসি নষ্ট করে দিতে পারে। শব্দ আপনার জীবনে সাফল্য এনে দিতে পারে, আর শব্দই আপনাকে সম্পূর্ণ রূপে শেষ করতে পারে। শব্দ শুধু মানুষকেই নয় এটা পুরো পরিবারকে, পুরো নগর ও দেশ কে ধ্বংস ও সৃষ্টি করতে পারে। শব্দ একটা শক্তিশালী অস্ত্র।



অনেক উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি যারা কথা বলতে পারেনা, তারা জীবনে অসফল হয়ে যায়। আর এমন অনেক উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি নয় যারা , এ ছাড়া কিছু অশিক্ষিত ব্যক্তির ব্যক্তি ও খুব সুন্দর ভাবে কথা বলতে পারে। শব্দের এতটাই শক্তি যে কোন মানুষ, লক্ষ লক্ষ মানুষের মন জয় করতে পারে, তার হৃদয়ে বাস করতে পারে। যে মানুষ মারা যায় তার জীবনকে জীবিত করে তুলতে পারে, তাকে নতুন জীবন দিতে পারে।

1. নিজে কথা বলার আগে সামনের ব্যক্তি  কে কথা বলার সুযোগ করে দিয়ে নিজে ভালো শ্রোতা হন।

একমাত্র ভালো শ্রোতারাই ভালো বক্তা হয়।
কেউ কথা বললে, আমরা সব সময়ই তার কথাটা না শুনে আমরা নিজের কথায় তার কাছে তুলে ধরি। এর ফল হিসেবে সামনে ব্যক্তি আমাদের উপর গুরুত্ব দেয় না, কারণ আমরা প্রথমেই যে ভুলটা করে ফেলেছি যে, তার কথা গুলো আমরা শুনিনি। তাই প্রথমে সামনের ব্যক্তির কাছে গুরুত্ব পেতে হলে, তার কথাটা প্রথমে মন দিয়ে শুনতে হবে, তবে সেখানেও নিজের কথাটা না বলাই শ্রেয়। সামনে ব্যক্তি কে তার পেশা, কেরিয়ার, তার ভালোলাগা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করে জেনে নিলে সেটা বেশি ভালো দেখায়, কারণ এর ফলে সামনের ব্যক্তি তোমার ওপর গুরুত্ব বেশি দেখাবে। আর  তার মনে যতক্ষণ না উদ্বেগ জন্মায় আপনার বিষয় জানার, ততক্ষণ না পর্যন্ত নিজের বিষয় না বলাই ভালো। যখন সে জানতে চাইবে তখনই  তুমি নিজের বিষয় তার সামনে তুলে ধরবে।



2. শব্দের গতি নিয়ন্ত্রণ 



আপনার বলার গতি খুব ধীর না দ্রুত সেটা আপনাকে জানতে হবে। আপনি যখন কথা বলেন, আপনার কথা বলার গতি খুব দ্রুত হবে, না' আবার খুব ধীর রাখতে হবে, তার সঙ্গে শব্দের উচ্চারণ অনেক স্পষ্ট ও ভালোভাবে করতে হবে। যদি দ্রুত ভাবে কথা বলবেন, তাহলে লোকে বুঝতে পারবে না যে  আপনি কি বলছেন। ধীরভাবে কথা বললে মানুষ বোর হয়ে উঠবে। যদি তুমি চেচিয়ে বলবে তো মানুষ আপনার কথা শুনবে না, আপনার কথা পছন্দ করবে না। আর ধীরে বললে সেটা মানুষের কানে পৌছাবেনা এবং তাদের মনে কোন প্রভাব পড়বে না। যদি তুমি তোমার উচ্চারণ স্পষ্ট ও সঠিক রাখো তাহলে তারা স্পষ্ট বুঝতে পারবে। 

3. অনুভূতি ও ভাবনাহীন শব্দ মৃতপ্রায়


আপনার শব্দ মধ্যে যাতে নিজস্ব ভাবনা ও অনুভূতি থাকে, যেটা আপনার ভয়েস মডিউলেশন হোক বা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এ হোক। আপনি যদি আপনার শব্দের ভাবনা না রাখেন, অনুভূতি না রাখেন, তাহলে আপনার শব্দ অন্য ব্যক্তির মন ছুঁতে পারবে না। মনকে শুধু শব্দই ছুঁয়ে যায়, যদি না সে শব্দ শব্দে ভাবনা না জুড়ে থাকে।

আপনি আপনার শব্দে ভাবনা বা অনুভূতি আনার চেষ্টা করুন। একই শব্দ যদি আপনি ভালোবেসে বলেন, 'আমি তোমাকে কখনোই ছাড়বো না', আর যদি ক্রোধে বলেন, 'আমি তোমাকে কখনোই ছাড়বোনা'। শব্দ একটাই কিন্তু দুটি প্রভাব বদলে যাবে সঙ্গে অর্থ বদলে যাবে।


4. সংশোধন করতে রেকর্ডিং শোনা


আপনি রোজ আপনার ভাষার জন্য আপনার ভাষাকে আরো সংশোধন করতে বই পড়ুন। এখানে আপনার উচ্চারণ পরিষ্কার হবে। আপনার আওয়াজ রেকর্ডিং করে শুনুন। সেটা শুনে আপনার কমতির দিকে বুঝুন, সেগুলি পুনরায় শোধরানোর চেষ্টা করুন। নিজের শব্দকে সুরিলা ও সুন্দর করার চেষ্টা করুন।

5. শব্দ কে গভীর ও আকর্ষণীয় করতে প্রাণায়াম


আপনার আওয়াজ শুধরানোর জন্য রোজ প্রাণায়াম করতে পারেন। কিছু প্রাণায়াম অনুলোম-বিলোম, সিংহাসন, কপালভাতি, নাদ- যোগ ব্রাহ্মী ইত্যাদি। আপনার শব্দ কে লম্বা ও গভীর করে তুলবে। আপনার শ্বাস ভিতরে ও বাইরে এখানে বের করার ও গ্রহণ করার কৌশল আপনার শব্দ ও চিন্তাকে আরো প্রসারিত করবে। আপনি যত গভীর ভাবে এই প্রক্রিয়া করবেন ততো আপনার আওয়াজ এর আকর্ষণ ক্ষমতা বেশি ভালো হবে। আপনি রোজ 30 মিনিট ধরে করতে পারেন।


6. কথা বলার আগে ভাবুন তারপর বলুন ও বিরতি দিন


অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে আপনি যখন কথা বলবেন সময়ে সময়ে আপনাকে দু সেকেন্ড করে বিরাম নিতে হবে। বিরাম নেওয়ার ফলে আপনার শব্দের মধ্যে শক্তি নিহিত হবে, একট আলাদা আকর্ষণ সৃষ্টি হবে। কথা বলার আগে ভাবুন। আপনার কথা বলার আগে সর্বদা বিরতি দিন, মনে মনে প্রথম কথাটি বলছেন না। এক মুহূর্ত সময় নিন এবং আপনি কী বলছেন এবং কীভাবে বলছেন তার প্রতি মনোযোগ দিন। এই একটি অভ্যাস আপনাকে বিব্রত এড়াতে অনুমতি দেবে।

7. লজ্জা কাটান ও বলার অভ্যাস তৈরি করুন


যে শব্দগুলো আপনি ব্যবহার করবেন সেই শব্দগুলোর বিষয়ে আপনি রোজ অভ্যাস করতে পারেন। আপনি যদি মানুষের সাথে কথা বলতে লজ্জা পান তাহলে আপনাকে এই লজ্জা কাটিয়ে উঠতে হবে। এই লজ্জা কাটিয়ে ওঠার কিছু কৌশল আমি আপনাদের বলছি।এক, যখন আপনি কথা বলবেন, কথা বলার সঙ্গে আপনার নিজের দৃষ্টি সামনের ব্যক্তির উপর রাখবেন, না নিচের দিকে রাখবেন, না ওপরদিকে রাখবেন, না ডান,না বাঁদিকে। সোজা হয়ে দাঁড়াবে। তার আগে অবশ্যই নিজে আয়নায় দাঁড়িয়ে নিজের চোখে চোখ রেখে কথা বলার অভ্যাস করুন। নিজের সাথে কথা বলুন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।


 যেটা করবেন না

1. লজ্জা না পাওয়া


কখনো লজ্জা পাবেন না। যে মানুষ কথা বলতে লজ্জা পায় সে মানুষ কখনো নিজের কথা খুলে বলতে পারেনা। তার শব্দের মধ্যে আকর্ষণ ক্ষমতা থাকে না।

2. আত্মবিশ্বাসের অভাব রাখলে চলবে না


কথা বলার সময় অবশ্যই নিজের  আত্মবিশ্বাস না থাকলে আপনার কথার জোর থাকবে না। আপনার কথা মানুষ বিশ্বাস করতে চাইবে না।

3. দুঃখজনক কথাবার্তা এড়িয়ে চলুন


সব সময় মানুষকে দুঃখের গল্প বলবেন না, এতে মানুষ বোর ফিল করে ও আপনি একটা নেগেটিভ ভাইভস তৈরি করেন, ফলে আপনার আশেপাশের মানুষজন আপনার সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করেনা। আপনার কাছে আসতে পছন্দ করেনা।



4. অপ্রিয় সত্য ও কটু কথা এড়িয়ে চলুন

অপ্রিয় সত্য ও কটু কথা বলবেন না। সঙ্গে অতিরিক্ত আজেবাজে কথা বলা থেকে এড়িয়ে চলুন। অপ্রিয় সত্য বললে মানুষ আপনার আপনাকে শত্রু বানিয়ে ফেলবে আপনাকে ভালো চোখে দেখবে না, সেরকম অতিরিক্ত কথা বলা একটা বাজে অভ্যাস। অতিরিক্ত কথা বললে মানুষ আপনাকে এভোয়েড করে চলতে থাকবে।

"কম বলো মগর কাম কা বলো," আপনি কত কথা বলতে পারেন সেটা বড় কথা নয়, আপনি কি বলছেন ও কিভাবে বলছো সেটা বড় কথা। কথা তো সবাই বলে কিন্তু কথা বলার মত কথা বা গুছিয়ে  কথা বলা একটা কৌশল। আপনাকে অবশ্যই স্থির করতে হবে আপনি কি বলতে যাচ্ছেন।



5. আত্ম অহংকার ত্যাগ করে সকলকে সমান দৃষ্টি রেখে কথা বলা


সবার সাথে সমান আচরণ করুন, কারও সাথে কথা বলবেন না, বা কথা বলবার সময় মানুষের সাথে তার কর্ম, জাতি, পোস্ট বা পদ বিচার করে স্থির করবেন না যে সে ব্যক্তি আপনার থেকে নিচু এবং আপনি উঁচু, সকলকে সমান দৃষ্টিভঙ্গিতে সমানভাবে দেখুন এবং তাদের সাথে কথা বলুন। এখানে নিজের আত্ম অহংকার বা  ego আনলে আপনার কথার মধ্যে সেটা বোঝা যাবে। শ্রদ্ধার সাথে আচরণ করুন। অন্যকে আপনার সমান বলে বিবেচনা করুন।




6. নেতিবাচক attitude থেকে দূরে থাকা


একটি ইতিবাচক মনোভাব এবং হাসি বজায় রাখুন। এমনকি আপনি যখন ফোনে কথা বলছেন তখনও হাসুন কারণ আপনার ইতিবাচক মনোভাবটি ফুটে উঠবে এবং অন্য ব্যক্তি এটি জানতে পারবেন ইচ্ছে । আপনি যখন প্রায়শই হাসেন এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেন, লোকেরা আপনাকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায়।





7. নিজের বিষয়ের কম কথা বলবেন


যখন আপনি কারো সাথে কথা বলবেন তখন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন নিজের ব্যাপারে কম, আর সামনের ব্যক্তির সম্পর্কে বেশি কথা বলবে। প্রত্যেক মানুষই নিজের সম্পর্কে বেশি শুনতে পছন্দ করে। আপনি তাকে এটা বলবেন না যে "আপনি কেমন", "আপনি কি কাজ করছেন", "আপনি কেমন আছেন" ওটাই বলবে যে সে কেমন আছে, সে কি করছে, তার বিষয়ে আপনি মত থাকবেন। আপনি তার বিষয়ে কী ভাবছেন সেটাই বলুন নিজের বিষয় নয়।

 শুনুন, শুনুন এবং শুনুন। লোকেরা জানতে চায় যে তাদের শোনা যাচ্ছে। আপনার প্রতিক্রিয়া তৈরির পরিবর্তে অন্য ব্যক্তি কী বলছেন তা সত্যিই শুনুন। ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে স্পষ্টতার জন্য জিজ্ঞাসা করুন। এই মুহুর্তে, আপনার সাথে কথা বলার লোকটি আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হওয়া উচিত। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল একবারে একটি কথোপকথন করা।



যদি আপনি ভালো বক্তা হতে চান, তাহলে এই কথাগুলো অবশ্যই আপনাকে নিরন্তর অভ্যাস করতে হবে। শুধু পড়লে শুনলে কিছু হবে না , যদি এসব কথা আপনার রোজকার জীবনে অভ্যাস ও আপনার ব্যক্তিগত জীবনে এগুলো যদি ব্যবহার করেন তাহলে বিশ্বাস রাখবেন একদিন তুমিও সবার হৃদয়ে রাজত্ব করবে।




কেন লোকেরা তোমার সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করবে?


 1. সামনের ব্যক্তির বিষয়ে আগ্রহী হও কিন্তু আকর্ষণীয় নয়।

 2. সর্বদা সামনের ব্যক্তির পছন্দ, আসক্তি, শখ, পেশা সম্পর্কে প্রশ্ন করো । যেগুলি তারা আগ্রহী।

 3. সক্রিয়ভাবে শ্রোতা হও।

 4. কম কথা বলো ও বেশি শোনো এবং তারপর বলো।

 5. মাথা ওপর নিচ করো এবং তাকে অনুভব করা ও যে তুমি তার সঙ্গে সহমত।

 6. প্রতিক্রিয়া জানাও  হা, সত্যি ,তারপর, এই শব্দগুলো বলে। 

সব থেকে বড় কথা হল এ কথাগুলো বারবার অভ্যাস করা।





I hope you have like this article on how to speak better and 14 tips. Do share your views, feedback or suggestion that we can add up in this article 😊. I would have to read your comments.



আপনারা আপনাদের মন্তব্য জানাবেন। আমার এই page টা share আর subscribe করবেন এরকম অনেক কিছু জানতে। page টা share করবেন যাতে অনেক মানুষ এটা পরে উপকৃত হয়।তারা যাতে নিজের সমস্যা থেকে নিজেকে বের কোরতে পারে, নিজেকে চিনতে পারে, নিজেকে motivate করতে পারে। এটা share করে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে দিন, যাতে তারা ও এটা পরের help  পায়।


মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মুর্খ মানুষ দের চেনের কিছু লক্ষণ। Murkho manush der chener upai

CRASH and LOVE

প্রেষণা বা Motivation কি? প্রেষণার চক্র! প্রেষণার তত্ত্ব -