বর্তমানে খুশি থাকতে কি করবে
খুশি থাকার কিছু টিপ্স
জীবনে খুশি থাকতে হলে কিছু বাস্তবতাকে স্বীকার করতে হবে আমাদের। খুশি এমন একটা শব্দ যেটা প্রত্যেক মানুষ খুঁজে। আর যেখানে খুশি পাই এখনই মানুষ থাকতে চাই। এই খুশির চাহিদার জন্য মানুষ অনেক কিছু করে। মানুষ খুশির চাহিদার জন্য নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলে, পুরানো সম্পর্কে নষ্ট করে। মনের সামান্য খুশির জন্য মানুষ অনেক নীচে নেমে যায়, তার চেহারার মুখোশ খুলে যায়। খুশি একটা মুহূর্তের জন্য আসে, আবার দুঃখ ও একটা মুহূর্তের জন্য আসে। দুটিই অস্থায়ী। মানুষ সবসময় নিজেকে খুশি রাখতে চাই কিন্তু সেটাও আবার নিজকেন্দ্রিক না হয়ে সেটা অন্য ব্যক্তির উপর নির্ভর হয়ে থাকে।
বর্তমানে খুসিকে আমরা বাইরে খুঁজি, আমরা নিজের অন্তরে খুঁজি না। খুশি তো অভ্যন্তরীণ ও অস্থায়ী এই কঠিন বাস্তব কে আমরা বুঝতে চায় না।
যে যেতে চায় তাকে যেতে দাও, এখন জোর করে তো আর সম্পর্ক টেকানো যায় না। দরকার নয় যে কিছু ভাঙতে গেলে পাথরই মারতে হবে একটু অন্যরকমভাবে বললেও অনেককে অনেক কিছু ভেঙে যায়। যদি এই পৃথিবীতে খুশি থাকতে হয় তাহলে একটা কথা মনে রাখবে যে তোমার কান্নাতে, তোমার দুঃখে কখনো কারো কিছু এসে যাবে না। প্রত্যেক ব্যক্তি সেই ব্যক্তি কে খুঁজছে যে কিছু না বললেই সবকিছু বুঝে যাবে।
উপরে উপরে কিছু আর পিঠের পিছনে অন্যরকম ব্যক্তি থেকে সর্বদা দূরত্ব বজায় রাখা ভাল, কারণ করোনাভাইরাস এর থেকেও বেশি ক্ষতিকারক হয়ে থাকে তারা। এতটাও কোন ব্যক্তির পিছনে দৌড়ানো উচিত নয়, যেখানে তোমার পায়ের থেকে তোমার মন বেশি ক্লান্ত হয়ে যায়। তুমি ওকে ছুঁয়ে নাও ও তোমার হয়ে যাবে বর্তমানে বিশ্বাস শুধু করোনাভাইরাস পাশেই আছে। যখন মুখের উপর বলার অভ্যাস থাকে তখন মুখের উপর শোনার ক্ষমতা ও রাখতে হবে। শব্দের ওজন তো কারোর ভাবনা থেকে জানা যায়, এমনে ওয়েলকাম তো পাপোষে ও লেখা থাকে।
কেমন যুগ এসেছে আজকাল ভালো হওয়ার দরকার নেই, ভালো দেখানো বা দেখা বেশি দরকার। লোক উপরে উপরে এটাই বলে যে সত্যি ভালোবাসা মন দেখে হয়, কিন্তু বাস্তবতা এটাই যে মানুষ প্রথমে চেহারা, আর পয়সা দেখে ভালোবাসা শুরু করে।
লোকের কাছে শুনেছি যে একদিন সময় বদলাবে, সময় একদিন বলে দিলো যে মানুষ একদিন বদলে যাবে। সম্পর্ক কখনো ভাঙা উচিত নয় কিন্তু যেখানে কদর থাকে না সেখানে সম্পর্ক নিভানোর দরকার নয়।
সবাই বলে যে সম্পর্কের সরি ও থ্যাঙ্কস বলা উচিত নয় কিন্তু সত্যি তো এটাই যে দুটি শব্দ কত না কত সম্পর্ক ভাঙার থেকে বাঁচাতে পারে। নিজের ভালোবাসার জন্য বাঁচিয়ে রাখে যার জন্য সেটার মূল্য হয়। কিছু মানুষ নিজের জেদের জন্য কত সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়। যারা সম্পর্ক পালন করে তারা হাজার ভুল ক্ষমা করে দেয় ।আর যারা ছেড়ে যাবার তারা আপনার একটা ছোট্ট ভুলে আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে। ভুল বোঝাবুঝির একটা মুহূর্ত এতটা বিষাক্ত হয়েছে ভালোবাসার পূর্ণ 100 টা ভালো মুহূর্তঃ কেউ এক মুহূর্তের জন্য ভুলিয়ে দেয় ।অনেক সময় অনেক কিছু বলার ইচ্ছা করে কিন্তু এখানে শোনার মত কেউ থাকেনা।
বিশ্বাস ও ভালোবাসা অনেক মূল্যবান উপহার কিন্তু সস্তা মানুষের থেকে এসব আশা করা কখনোই উচিত নয়। আপনার জন্য সবথেকে বড় জয় কোনটা জানেন যখন তুমি তাকে চুপচাপ থেকেও ক্ষমা করে দেবে যে তোমাকে সব থেকে বেশি কষ্ট দিয়েছ। দুঃখ মানুষের সব থেকে ভালো বন্ধু যতক্ষণ সাথে থাকে অনেক শিক্ষা দেয় আর যখন ছেড়ে যায় তখন সুখ দিয়ে যায়। কিছু কষ্ট এমন হয় যেটা আমরা ভীতর ভীতর সহ্য করে নিতে পারি কিন্তু কাউকে বলতে পারিনা। ভালোবাসা করা ব্যক্তি হাসতে সবার সঙ্গে পারে কিন্তু কান্নাকাটি একাই করে।
আমার হৃদয় কখনো কারোর খারাপ চাইনি এ কথাটা আলাদা কিন্তু আমাকে প্রমাণ করতে হতো হয়নি। অনেক দেরিতে বলা সত্য কখনো কখনো মিথ্যার সমানই হয় ।কিছু লোক যখন বলতেই পারেনা শুধু কাঁদতেই থাকে। যখন সম্পর্ক নতুন হয় তখন লোক কথা বলার জন্য বাহানা খোঁজে। আর যখন সে সম্পর্ক পুরনো হয়ে যায় তখন লোক দূরে যাওয়ার জন্য বাহানা খোঁজে। যেটা আছে আপনার এখানে এটা জরুরী নয় যে সেটা কাল আপনার পাশেই থাকবে! এজন্য যেটা আজ আপনার কাছে আছে সেটা কদর করতে শেখো । ভালো সময় ভালো স্মৃতি আনে, খারাপ সময় ভালো শিক্ষা দিয়ে যায়। মানুষের চেহারায় কখনো না যাওয়াই ভালো কারণ চেহারা থেকে বড় মুখোশ কেউ হয়না।
যে তোমার সাথে হৃদয় ও মন থেকে কথা বলে কখনো তাকে বুদ্ধি দিয়ে কথা বলে পাপ করোনা। একটা মিথ্যা ও বেইমান মানুষ কখনোই একজন সত্যবাদী মানুষের সাথে দিতেই পারে না। কে পুরোটাই সক্ষম ও অসমর্থ, আর কে পুরোটাই পূর্ণ বা পারফেক্ট, প্রত্যেক ব্যক্তির কোথাও না কোথাও কোন জায়গায় অপূর্ণতা আছে।
যে হারাতে তাকে চেয়ে তাকে যেতে দাও। যার কানে আপনার শব্দ পৌঁছায় না তাকে যেতে দাও। যদি কেউ তোমার সাথে যুক্ত হতে চায় তাহলে সে তোমার প্রত্যেক ভুল ও কমিটিগুলোকে আপন করে নেবে।
আপনি কারোর ভালো উপকার করতে থাকুন কিন্তু শেষে এটাই হয় যে ব্যক্তি আপনাকে বোকা ভাবতে শুরু করবে। পুরনো মানুষ ভাবুক ছিল তাই তারা সম্পর্কের কদর করতে পারতো ও সামলাতে পারতো। পরে তা practical হয়েছে সেখানে সম্পর্কে সুবিধা নিতে থাকে। এখন মানুষ প্রফেশনাল হয়ে গেছে যদি সুবিধা পায় তবে সম্পর্ক তৈরি করে।
জীবন এমন একটা জায়গায় চলে এসেছে যেখানে কিছু জিনিস ভাল তো লাগে কিন্তু চায় না কিছুই। প্রত্যেক মানুষ তেমন নয় যেমনটা তুমি নিজেকে ভাবো। দ্বিতীয় ব্যক্তির কাছে সেরকম ইচ্ছে কখনো করবে না যেটা তুমি তার সাথে করেছো। খুশি থাকার আরো একটা কৌশল যেখানে দেখবে যে তোমার কোন মূল্যই নেই চুপচাপ নিস্তব্দ সেখান থেকে ত্যাগ করো। এই জেনারেশনের মানুষদের মধ্যে বিশ্বাস খুঁজে পাওয়া অর্থ বিষের বোতলের মধ্যে ওষুধ খোঁজা। একটা এটা জরুরী নয় যে আপনার জীবনে প্রত্তেক ঝড় ই অন্ধকার নিয়ে আসে, কিছু ঝড় এরকম আসে যেখানে আপনার সমস্ত রাস্তা পরিষ্কার করে যায়।
শব্দ দিয়ে কেরোর উপস্থিতি খুজটর যেও না। প্রত্যেকে তো সেরকম বলতে পারে না যতটা সে বুঝতে পারে ও অনুভব করতে পারে। যে জিনিস সময় মতো না পাওয়া যায়, সেটা পরে পেলে বা না পেলে তার কোনো প্রভাব পড়ে না। আর কাউকে জোর করতে পারোনা সে আপনাকে প্রেম করুক, আপনাকে চাক কিন্তু আপনি তার থেকে দূরে গিয়ে আপনি উপলব্ধি অবশ্য করাতে পারেন যে সে কি হারিয়েছে।
যে ব্যক্তি আপনাকে সত্যিকারে ভালবাসবে তার সঙ্গে খুশি থাকার জন্য আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে না শুধু আপনি খুশি থাকবেন। জীবনে ভালো সময়ে সেই সব ব্যক্তিদেরই কখনো ভুলো না যে তোমার খারাপ সময় তোমার পাশে ছিল। হাসির পিছনে কষ্ট ও দুঃখ, রাগের পিছনে ভালোবাসা, আর চুপ থাকার কারণ কেউ কেউ বুঝতে পারে।
নিজের দোষ অন্য জনের মাথায় দিয়ে কিছু লোক ভাবে যে বাস্তবতা বদলে গেছে। যেই হৃদয়ে ভ্রান্তি, মনের মধ্যে জেদ, কথাবার্তার মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে আসে তখন বুঝে নিতে হবে সে সম্পর্কের হার নিশ্চিত। জীবন একটা জিনিস শিখিয়ে দিয়েছে সর্বদা নিজেই নিজের অন্তরে খুশি থাকতে শেখো, আর কখনো কারো উপর কোন আশা না রাখতে শেখো। যদি কেউ ভালোবেসে কথা বলে সেখানে ভালোবাসা ভেবে ভুল করোনা কারণ দুনিয়াতে আজও খারাপ সময়ে গাধাকে ও বাবা করে দেয়।
এখনকার যুগে মানুষের চাহিদা পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর তার রঙ পরিবর্তন হয়ে যেতে দেখেছি। ভয় লাগে সে সব মানুষদের থেকে যাদের মনে ও বুদ্ধির প্রয়োগ করে। হৃদয় থেকে কথা বলার সময় ও বুদ্ধির প্রয়োগ করে।
স্পিরিচুয়ালিটি থেকে কনফিডেন্ট অনেক বৃদ্ধি পায়। ভক্তি আমাদের চেতনা বৃদ্ধি করে। যখন আমাদের চেতনা বৃদ্ধি হয় তখন আমরা কোন জিনিসকে ওভারভিউ ভাবে দেখতে পায়। আর তখন আমাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। আমাদের কি করতে হবে? আর কি করতে হবে না? স্পিরিচুয়ালিটি প্রশ্ন আসে আমরা কি? আমি কেন ভগবানকে? আমাদের সাথে ভগবানের রিলেশন কি? এসব । who am I? এটা অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ আমরা এটা থেকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়। আমরা কোথা থেকে এসেছি? এটা থেকে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বৃদ্ধি পায়। এটার মাধ্যমে আমরা খুশি থাকতে পারবো।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন