নিজের Ego চিনে সেগুলো শুধরানোর কিছু কৌশল।
আমাদের Ego আমাদের শত্রু। তার থেকে বাঁচার উপায়
অহং হলেই Ego হয় না। এটা ভালো ও খারাপ উভয় হতে পারে। কিন্তু যখন আমাদের অহংকার নিজ কেন্দ্রিক হয়ে যায় ও নিজেদেরকে বড় ও সঠিক দেখানোর জন্য অন্যদের ছোট করি। Ego অহংকার তখনই হয় যখন, 'আমি ','আমার', এবং 'একান্তই আমার' এই শব্দগুলোকে আমরা আপন করে নিই। আমরা ভালো কিছু গুণ অর্জন করলে আমাদের মধ্যে অহংকার জাগবে এটা স্বাভাবিক কিন্তু যখন অন্যদের ভালো গুণগুলো কে ছোট করে দেখি ও নিজেদের গুণগুলোকে বড় করে দেখি তখন ইগোর জন্ম নেয়। ইগো আমাদের আত্মবিশ্বাসকে অহংকারে পরিণত করে। Ego is our unhealthy belief । যেটা আমাদেরকে অনেক গুরুত্ব অনুভব করায়।
"আমি" শব্দটাই "ইগো"। যেখানে "আমি এটা", "তুমি ওটা" এটা পার্থক্য করায় নিজেকে অন্য জনের সাথে তুলনা করে কাওকে ছোট করি সেখানে Ego বা অহংকারের জন্ম নেয়। যেখানে আমাকে তোমার থেকে পার্থক্য করে, যেখানে আমাকে তোমার থেকে তুলনা করে ছোট দেখানো চেষ্টায় হলো ইগো বা আত্ম অহংকার। আমরা যখন কাউকে কিছু বলি কিন্তু তারা আমাদের কিছু বলে তখন আমাদের খারাপ লাগে। যেখানে "আমি" আর "তুমি" সেখানে Ego বা অহংকার। সমস্ত ঝগড়ার মূল কারণ হলো EGও। Ego আমাদের এটাই ভাবাই যে লোক আমাদের জন্য কি ভাবছে।
Ego কি ভাবে তৈরি হয়?
যখন আমরা নিজেকে কোনও ভুল চিত্রের সাথে বা ইমেজ এর সাথে নিজেকে সংযুক্ত করি। আসলে,-"আমি কে?" আমার মনে নেই।আমি নিজেকে একটি অন্য চিত্র তৈরি করেছি এবং আমি সেই চিত্রটির সাথে সংযুক্ত হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি যে আমি সেই চিত্র। এটা অহং বা Ego। কারণ যখন কেউ সেই চিত্রটিকে স্পর্শ করে, যখন তারা কিছু বলে, যদি তারা এ সম্পর্কে কোনও বিকল্প দেয়, সেখানে আমরা মতামত পছন্দ করি না। আমরা বলব অহংকার বা Ego আহত হয়েছিল।কেনকি আমি ইমেজ এর সাথে নিজেকে সংযুক্ত করেছি, কেও এসে সেটাকে খোঁচা দিচ্ছে। আমাকে নয় সেই ইমেজ কে।
ইগোর কিছু লক্ষণ
* আমিই সবথেকে মহান,
* আমিই সবথেকে বুদ্ধিমান,
* আমি সব কিছুই জানি বা সবজান্তা,
* আমি সব থেকে বেশি জ্ঞানী এরকম মনেকরা,
* নিজেকে সর্বদা বড় ভাবা,
* তর্কে হার না মানা ,
* নিজের ভুল স্বীকার না করা,
* অন্যদের দোষ খুঁজে তাদের খোঁটা দেওয়ার চেষ্টা করা,
* সামান্য অর্জনকে নিয়ে নিজেকে অনেক বড় ভাবা,
* নিজেকে সফল এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ভাবা,
* আমি শুধু সফল ব্যক্তি ও শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি এই পৃথিবীতে।
যেগুলো Ego লক্ষণ নয়
*আমি করতে পারি,
*আমি সফল,
*আমি মহান,
*আমি বুদ্ধিমান,
*আমি জ্ঞানী,
*আমি খুশি,
*আমি শক্তিশালী,
*আমি দেখতে ভাল,
নিজের বিষয়ে বেশি সচেতন হলে বা নিজেকে ভালবাসলে Ego হয় না। যখন আমরা অন্য কাউকে ছোট করছি, অন্য কারো সাথে নিজের নিজের তুলনা করছি, অন্যজনের সামনে নিজেকে বড় দেখাচ্ছি , এটা আমাদের অহংকার তৈরি করে। আর অহংকারী মানুষদের সব মানুষই নিজেদের থেকে ছোট লাগে।
আমরা Ego কি করে চিনবো?
যদি বলি আমাদের খাবার খাওয়া ভালো? তাহলে উত্তরটা এটাই হবে যে, আমাদের শরীরের জন্য খাবার খাওয়া ঠিক। আবার যদি বলি দরকার এর থেকে বেশি জাঙ্কফুড, ফাস্টফুড খাওয়া ভালো? বা খুব কম খাওয়া কি ভালো? এটার উত্তর কি? উত্তর হবে দরকার এর থেকে বেশি ও কম খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে, ততটুকুই খাওয়া দরকার যতটুকু আমাদের খিদে পাবে। যেটা আমাদের শরীরের দরকার। এই একই যুক্তি প্রযোজ্য হবে আমাদের Ego সাথে। ইগো বেশি বা কম হওয়া আমাদের জন্য সমস্যার কারণ। ইগো কে তিনটি ভাগ করে নিচ্ছি 1. High ego , 2. Low ego 3. ব্যালেন্স বা হেলদি Ego.
High Ego
যে মানুষের হাই ইগো থাকে, সে মানুষ কখনো নিজের ভুল স্বীকার করবে না। সে সব সময় ভাবে সেই ঠিক ,তার পাশের সব মানুষ ভুল। ও শুধু নিজের কাজকে প্রশংসা করে ও সর্বদা নিজের কথাই বলতে থাকে। সবসময় এটাই বলে যে "আমি এটা", "আমি ওটা", "আমি এটা করেছি", "আমি ওটা করেছি", তার কাছে পার্টিকুলার বা নির্দিষ্ট তার কাজ সে ছাড়া অন্য কেউ ভালোভাবে করতে পারবে না। সে কারোর কথাই শোনে না। সে কখনো ভালো শ্রোতা হয় না। যে মানুষের হাই Ego থাকে তারা, নতুন কিছু শিখতে চায় না, তার কারণ তারা মনে করে যে তারা সব কিছুই করতে পারে, তারা সব কিছুই জানে। তাদেরকে কেউ যদি উপদেশ দেয় তাহলে তারা মনে করে, যে তাদেরকে শেখানোর চেষ্টা করছে; তাকে ক্রিটিসাইজ করছে ,তাকে ছোট করছে। আর যদি তাকে ক্রিটিসাইজ করে দেওয়া হয় তাহলে শুরু হয় মহা সংগ্রাম। আপনার জীবনে চাবিকাঠি চলে যেতে থাকে অন্য মানুষের হাতে। আপনার জীবনের রিমোট কন্ট্রোল লোকের হাতে চলে আসে। তখন তারা আপনার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পেরে আপনাকে তারা নিখুঁত ভাবে ব্যবহার করে। কখনো তোমাকে তোমার অহংকার কে তারা বাড়িয়ে দেয় বা কখনও আঘাত করে, আপনার না চাইতে আপনার উচ্চ প্রশংসা করে আপনাকে। তারা বলে "আপনার মত এরকম কাজ কেউ করতে পারবে না", "আপনার মত ভাল কেউ করতে পারবে না"।"আপনার মত হেল্প ফুল কেউ নেই"। না চাইতেও আপনি সে কাজটা করবেন। আবার কখনও কখনও চ্যালেঞ্জ একসেপ্ট করে ও হয়।যখন কেউ আপনাকে উসকা বে বা চ্যালেঞ্জ করবে, "কাজটা আপনি করতে পারবেন না"। তখন আপনি ওই কাজটাই করবেন, কারণ আপনি তাকে কিছু প্রমাণ করতে চাইছেন। যদি এরকম চ্যালেঞ্জ কমপ্লিট করো তাহলে তোমার Ego বুস্ট হবে, আরো বেড়ে যাবে। আর যদি না পারো তাহলে তুমি উদ্বিগ্নতায় ভুগবে, ডিপ্রেশনে যাবে, অর্থাৎ হাই Ego কিছু লক্ষণ হলো অতিরিক্ত রেগে যাওয়া, চরম হিংসা করা, নিজেকে ইন সিকিউরিটিতে ভোগা, উদ্বিগ্নতায় ভোগা, আপনি আপনার আশেপাশের মানুষজনদের নিচু ভাবে দেখতে থাকবেন। আপনার সম্পর্ক ব্যক্তিগত সম্পর্ক, প্রফেশনাল জীবন ও ভালো হবে না। লোকে আপনাকে ভয় পাবে কিন্তু সম্মান করবে না।
Low Ego
এ ধরনের মানুষ নিজের জীবনে কোন চ্যালেঞ্জ নিতে পারে না। কোন কমিটমেন্ট করতে পারে না, লাইফে নতুন কিছু শিখতে পারে না। কেন কি তারা তারা তাদের মনে করে তারা কিছু শিখতে পারবে না। তারা নিজেদের কমতি দেখতে পায়, তারা নিজেদেরকে দুর্বলভাবে দেখে। তাদের আত্মবিশ্বাস অনেক কম থাকে, সবসময় ভয় ও উদ্বিগ্নতাই ভোগে। সেজন্য তারা জীবনে কোন ঝুকি নিতে পারে না। যদি নিজেকেই কমজোর ভাবে তাহলে আপনার আশেপাশের থাকা মানুষজন বন্ধু-বান্ধবীরা আপনাকে এমনিতেই কমজোরি ভাববে। আপনার আশেপাশের মানুষজন খুব সহজেই তাদের নিপুন ভাবে ব্যবহার করতে পারে তারা ডমিনেট করতে পারে। যদি তারা কোন দোষ করে থাকে তো সেখানে আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করবে।আপনার ওপিনিয়ন আলাদা হলেও আপনি তাদের হাঁঁ তে হাঁঁ মেলাতে হয়।সেটা আপনাকে হতাশায় ফেলতে পারে। আপনার ভিতরে ইনসিকিউরিটি বা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগবেন। অতিরিক্ত হিংসাভাব, ভয়, কম আত্মবিশ্বাস ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। আপনি নেগেটিভ থিংকিং করেন ও আপনার আশেপাশে নেগেটিভ ভাইব্রেশন সৃষ্টি করে আপনি আপনার সমস্যা সৃষ্টি করেন। আপনার কাছে কেউ থাকতে চায় না। আপনি অ্যাংজাইটি বা উদ্বিগ্নতাই ভুগবেন। আপনি ভালো শ্রোতা হতে পারেন না। আপনার স্বভাব হয়ে যায় দুঃখীদের মত। আপনি সবসময় এটা ভাবেন যে আমার সাথেই সব খারাপ হয় । "আমি এটা পেলাম না", "ওটা পেলাম না" এই ভাবতে থাকেন। আপনি অন্য কারো দোষ দেন। আপনি এটা ভাবেন যে জীবন শুধু আমার সাথেই খারাপ করছে। এরকম মানুষ ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে পারে না, কেন কি তাদের আশেপাশের মানুষদের তার থেকে নেগেটিভ ভাইবস আসে। সবসময় তুলনা করে এদের সম্পর্ক কখনো ভালো হয় না। অনেক সময় এরা মানুষের সাথে মিশতে ও পছন্দ করে না।
Healthy Ego বা Balanced Ego
হেলদি Ego থাকলে আপনি আপনার কাজ সম্পর্কে, আপনি কি চান সেটা সম্পর্কে, আপনি কেমন আচরণ করেন সেটার সম্পর্কে ভালোভাবে আপনি আপনাকে জানেন। এখানে আপনি আপনাকে ভালোভাবে জানেন যে আপনি কি চান।আপনি যাই করবেন আপনার ইচ্ছা তেই করবেন, আপনার খুশিতেই করবেন, না কারোর প্ররোচনায় এসে। আপনি আপনার উন্নতির জন্যই করবেন; না কাউকে প্রসন্ন করার জন্য, না কাউকে নিচু দেখানোর জন্য। আপনি জানবেন যে আপনাকে কি করতে হবে, আপনাকে কি শিখতে হবে ও নিজেকে কিভাবে আরও ভালো করতে হবে।আপনাকে কারোর থেকে কোন উপদেশ নিতে ও শিখতে কোন কিছু সমস্যা হবেনা। আপনাকে আপনার শক্তি, দুর্বলতা, আপনার সক্ষমতা সম্পর্কে ভালো জানা থাকবে। নিজের ভুল স্বীকার করে আর সেটাকে গ্রহণ করতে আপনার কোন সমস্যা হবেনা। আপনার আশেপাশের মানুষজন আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেনা, নিচু দেখাতে পারবেনা, আপনার উপর জোর চালাতে পারবে না; কারণ আপনি আপনাকে ভালো করে জানেন।আপনি জানবেন আপনাকে কোন কথায় সমর্থন আর কোন কথায় অসমর্থন করতে হবে। আপনাকে কোথাও স্ট্যান্ড নিতে হবে। আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ থাকবেন, আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পজিটিভ হবে।আপনি আপনার জীবনকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাবেন। আশেপাশের মানুষজন ও বন্ধু-বান্ধব আপনাকে ভালোবাসবে, আপনার সাথে কম্পানি নিতে পছন্দ করবে। আপনি একজন ভালো শ্রোতা ও আপনার পজিটিভ ভাইবস তাদের খুশি করবে।
এবার একটা উদাহরণের সাহায্যে দেখাচ্ছি যে আমরা কোথায়, কখন, কিরকম ভাবে আমাদের মনের মধ্যে এই অহংকার কে জায়গা দিই। ধরুন আপনি একটা অফিসে জব করেন বা আপনি স্কুলের একজন শিক্ষক। এবার আপনি যখন আপনার অফিসে বা স্কুলে যান সেখানে আপনার অফিসের সিকিউরিটি গার্ড, আপনার নিচে থাকা কর্মচারী, আপনার সাথে একই পোস্টে কাজ করা কর্মচারী ও আপনার কোম্পানির মালিক। আপনি এখনে করে স্কুল শিক্ষক হিসেবে নিজেকে তুলনা করতে পারেন। স্কুলের সেই কেরানি, একই পোস্টে থাকা কলিগ, তার থেকে উচ্চ শিক্ষিত কিছু শিক্ষক ও হেডমাস্টার। এদের সকলের সাথে আপনি কি একই ভাবে ব্যবহার করেন? কিন্তু এটি অপ্রিয় সত্য হলেও আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ সেটা করি না। কারন আমরা কেরানি, সিকিউরিটি গার্ড কে তার পোস্ট অনুযায়ী তাদের সঙ্গে সেই মতো ব্যবহার করি। কিন্তু নিজেদের পোস্টে থাকা কর্মচারীদের সাথে এরকম ব্যবহার করি। আর আমাদের থেকে উঁচু পোস্টে থাকা যেমন হেডমাস্টার বা তোমার কোম্পানির মালিক এর সাথে তুমি তোমার ব্যবহার পরিবর্তন করবে। এখানে দেখা যাচ্ছে যে এই কেরানি, পিয়ন, গার্ড, সমস্ত অফিসার দের নিয়ে যদি একটা মিটিং করা হয় একটা রুমে তখন তাদের সাথে আলাদা ভাবে আমরা ব্যবহার করি, তাদেরকে তখন আলাদা নজরে দেখি কারণ আমরা আমাদের পোষ্টের সাথে তাদের পোস্ট এর কথা চিন্তা করে তুলনা করে সেই হিসাবে মতো তাদের জন্য ব্যবহার তৈরি করছি। সেটা Ego হচ্ছে।
Social media তে ও Ego প্রভাব দেখা যায়।
Facebook, Twiter, You tube প্রভৃতি তে বেশির ভাগ মানুষ নিজেই like ও Comment গুনছে, নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করে মনের মধ্যে Ego ভাব নিয়ে আসছে, আর নিজেকে সেই Ego প্রতিযোগিতায় ঝুকে দিচ্ছে। আর কিছু সময় পর বিফল হয়ে নিজের মন খারাপ করছে, হিংসে ভাব গড়ছে, কখনো হতাশ হচ্ছে।
Ego নিয়ন্ত্রণ করার কিছু উপায়
Ego জন্ম অনুভূতি বা Feeling থেকে
নিজেকে অন্যের থেকে উচ্চতর মনেকরার feelings আমরা ego যুক্ত যে আমার Ego থেকে তৈরি হওয়া অনুভূতি কে ভালোবাসি। টাকা থাকার ফলে যে অনুভূতি হয় সেটাকে আমরা ভালোবাসি কিন্তু টাকাকে নয়। আমরা সমাজে যে পোস্টে থকার জন্য আমরা অহংকার বোধ করি, আমরা সেই পোস্টটা কে ভালবাসি। সেই পোষ্টে থাকার ফলে আমাদের যে ক্ষমতা তার জন্য তৈরি হওয়া ফিলিংস আসে, সেটাকে ভালোবাসি। সেজন্য আমরা কম পাওয়ারের থাকা মানুষদের সাথে বাজে ব্যবহার করি, তাদের ছোট করি। কিন্তু এই ফিলিংস বা অনুভূতি অস্থায়ী। এগুলো পরিবর্তনশীল। আপনি যদি মনে করেন যে কোন অনুভূতি পার্মানেন্ট বা স্থায়ী নয়। তাহলে আপনার ইগো কমে যাবে।
নিজেকে অন্যজনের সাথে তুলনা করা বন্ধ করতে হবে।
Ego শুরু হয় স্কুল জীবনে মনিটর ও ক্যাপ্টেন থেকে।
আমরা মানুষ তাই যখন আমরা কোনো কিছু অর্জন করি সেই অনুযায়ী আমরা মানুষদেরকে বড় ছোট বলে বিভেদ করতে থাকি সেখানে আমরা মানুষের স্বার্থে মানুষ হিসাবে কথা বলিনা। বড়লোক গরিবের সাথে কথা বলে, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সাথে কথা বলে। মূল কথা হল এই বিভেদ নীতি ত্যাগ করে সকল মানুষকে মানুষের চোখে দেখো। আসলে আমরা যে রোল করি, আমাদের যে আসল কোয়ালিটি সেটা দূর করতে থাকি, সেটা কে ভুলে যেতে থাকি, আমরা ভুলে যাই স্পিরিচুয়ালিটি বা আধ্যাত্মবাদী হিসাবে আমরা একটা আত্মা শক্তি। আমার বলার উদ্দেশ্য কোন কিছু অর্জন করা খারাপ নয়। মানুষ যত অর্জন করতে থাকে তখন মানুষ চাইতে থাকে হাত পেতে চাই সম্মান। বাচ্চাদের আমরা শেখায় সম্মান দেওয়া দরকার কিন্তু আমরা যখন বড় হয়ে যায় আমরা স্বাস্থ্য, সম্পদ, শিক্ষা, অবস্থান অর্জন করতে থাকি, বড় হতে থাকি তখন আমাদের মন পরিবর্তন হয়ে যায়। যেখানে দেওয়া দরকার সেখানে আমরা নিতে থাকি। নেবার ইচ্ছা জন্মাতে থাকে। আমরা শক্তি বা এনার্জি দিচ্ছিনা চাইছি, আমরা ভালোবাসা দিচ্ছিনা চাইছি। আমাদের আসল পরিচয় হলো দেওয়া। কিছু দিলে আমাদের ভালো অনুভূতি হয়।
প্রত্যেকদিন নিজেকে একটা সিম্পল চেকিং করতে হবে যে আই হ্যাভ সিটেড ফর্ম মাই সিট অফ self-respect না করলে জানতে পারবে না অভিমান বা ও সম্মান বা রেসপেক্ট মন স্থির আছে নাকি দেখতে হবে self-respect আত্মসম্মান থাকলে মনের স্থিতি ভালো থাকবে। মন স্থির থাকবে আর ইগো থাকলে ভালো অনুভূতি হবে না। দুশ্চিন্তা থাকবে একটা বিশৃঙ্খলা থাকবে আমাদের মনের চিন্তাতে, তখন আমরা অহংকার এর উপর বিরক্ত হয়। আর যখন স্থির হয় আমাদের ভালো অনুভূতি জাগে।যদি মন পরিষ্কার তাহলে self-respect । মনের দ্বন্দ্ব ও অস্পষ্ট অন্যের ব্যাপারে চিন্তা করা সম্ভব করা নিজের ব্যাপারে হীন ভাবনা করা, অভিমান করা, ভয় করা, রিজেকশন বা বিচ্ছেদ, তুলনা করা, হিংসা করা, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা করা, পরনিন্দা-পরচর্চা, আঘাত পাওয়া, রেগে যাওয়া এগুলো সব আমাদের ইমোশন। এগুলোই হল বিশৃঙ্খলা। সব ভুলে একটার মূল হলো আমি। আপনি যদি আপনার মনে এই চিন্তাটা তৈরী করেন, তাহলে সে আমাকে সম্মান দিল না, তখন আপনি বা আপনার অবস্থা হবে বিশৃঙ্খল। self-respect এর অর্থ আপনি স্থির, অন্যের উপর ডিপেন্ড বা নির্ভর নন, যখন আমরা অভিমানে তখন আমাদের স্থিতি ব্যক্তি ও পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে যখন আমাদের মাইন্ড কোন জিনিস বা কোন ব্যক্তির জন্য বিশৃঙ্খলা সৃস্টি হয় তখনই ego হয়। যখন আমাদের মাইন্ড মন স্থির থাকে কোন জিনিস ও ব্যক্তির প্রতি সেটা হলো আত্মসম্মান। আমি হলাম আত্মা আমি কারোর উপর নির্ভর নয় কোন ব্যক্তি কোন বস্তুর প্রতি ও নয় তখন তুমি আত্মসম্মানের অনুভূতি পাবে।
I hope you have like this article on know your Ego and solution tips. Do share your views, feedback or suggestion that we can add up in this article 😊. I would have to read your comments.
আপনারা আপনাদের মন্তব্য জানাবেন। আমার এই page টা share আর subscribe করবেন এরকম অনেক কিছু জানতে। page টা share করবেন যাতে অনেক মানুষ এটা পরে উপকৃত হয়।তারা যাতে নিজের সমস্যা থেকে নিজেকে বের কোরতে পারে, নিজেকে চিনতে পারে, নিজেকে motivate করতে পারে। এটা share করে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে দিন, যাতে তারা ও এটা পরের help পায়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন