ক্রোধ নিয়ন্ত্রন এর কিছু গোপন তথ্য. SECRET Solution To Controlled Anger
স্বাস্থ্যকর ক্রোধের গোপনীয়তা ও তা নিয়ন্ত্রণ এর ৬ টি উপায়
ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করুন
আমরা ক্রুদ্ধ হয়ে জন্মগ্রহণ করি না, আমরা ক্রোধ শিখেছি। সময়ে সময়ে আমরা সবাই রেগে যাই। এটি একটি মানুষের বৈশিষ্ট্য। সাধারণত কোনও নির্দিষ্ট পরিস্থিতি বা ঘটনা বিষয়ে আমাদের প্রতিক্রিয়া করি।
ক্রোধ আপনাকে আপনার শেষ সীমাতে ঠেলে দিতে পারে। কীভাবে রাগ পরিচালনা করবেন সে সম্পর্কে স্কুলে কোনও কোর্স নেই তবে এটি আশ্চর্য হওয়ার মতো হওয়া উচিত যে আমরা এটি নিয়ন্ত্রণ করতে শিখতে পারি। যদিও আমরা সবসময় আমাদের ক্রোধকে সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, আমরা এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য যত বেশি উপায় অনুশীলন করব ততই আমরা সফল হব। তবে আপনি যদি মনে করেন যে আপনার রাগ দেখার সময় এসেছে, আমি আপনাকে অস্বাস্থ্যকর রাগকে রূপান্তরিত করতে কিছু টিপস দিচ্ছি সেগুলো কে নিজের জীবনে রোজ apply করতে হবে।
রাগ কোথা থেকে আসে?
আমরা কোনো কিছু পাওয়ার আশা বা যখন কিছু সম্ভোগের আশা করি। যদি সেটা পূরণ না হয় তখন আমাদের ক্রোধ আসে। সেটা কোনো বস্তু, ব্যক্তি বা সম্পত্তি হতে পারে। ক্রোধ মানুষকে উদ্বিগ্ন করে তোলে।
কেও আপনার জন্য আপত্তি জনক কথা বললে; কেও আপনাকে অপমান বা নিন্দা করলে; আপনার ধর্ম নিয়ে কথা বললে; আমার পছন্দের মানুষ এর সম্বন্ধে কেও খারাপ কিছু বললে; জোর করে আপনার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিলে; নিজের ইমেজ কে কেউ খাটো করলে ক্রোধ আসে। আমি বলছি না যে রাগ দেখবেন না, এটা একদম নয়। কিন্তু রাগ দেখানোর আগের একটু থামা তো যায়। একটু ভেবে নিয়ে তুমি নিজে ঠিক করো যে সেটা দেখানো উচিত কি উচিত নয়। অযথা মাথা গরম করে লাভ হবে।
এবার আমার প্রশ্ন:- রাগ আসে ? না আমরা নিজের থেকে রাগ করি?
এটার উত্তর বেশির ভাগ মানুষ দিয়েছে আমাদের রাগ নিজের থেকে আসে, আমরা রাগ করি না। আসলেও এই উত্তর টা একদম ভুল। আমি একটা উদাহরণ দিয়ে এটা প্রমান করে দিতে পারি যে রাগ আসে না কখনো, রাগ আমরা করি।
যখন স্কুলে এর হেড মাস্টার যখন কোনো তোমাকে বকে, তুমি সব কাজ করেছো তার সত্বে ও তোমাকে অপমান করে, খারপ কথা বলে এরকম পরিস্থিতি তে তুমি কিছু প্রতিক্রিয়া করতে পারেন না। হতে পারে তার বউ এর সথে ঝগড়া করে এসেছে সে, সেই রাগটার শিকার তোমাকে হতে হচ্ছে। তাইলে তোমার রাগ হলে ও তুমি তখন কি কে হেড মাষ্টার কে রাগ দেখতে পারবে ? পারবে না। করন জানো যে তুমি তাকে প্রতিক্রিয়া করলে তোমাকে স্কুল থেকে বেরহতে হতে পারে বা তোমাকে শাস্তি পেতে হতে পারে।
আরো একটা উদাহরণ আপনি কোনো অফিসে job করছেন। সেখানে আপনার বস আপনাকে হাজার খারাপ কথা বললে ও তুমি রেযাক্ট করতে পারবে? তুমি জানো যে তুমি সব কাজ ভালো ভাবে করেছো, তারপর ও তোমাকে সেরকম কথা শুনতে হচ্ছে । পারবে না। কারণ তুমি জানো ওখানে রাগ করলে তোমার ই ক্ষতি হবে। তোমাকে job হারাতে হতে পারে। যদি রেইক্ট করে দাও তাইলে তোমাকে job হারাতে হবে। এটা বোকামি হবে আপনার।
আমাদের কোনো কাজ যখন বাবা- মা দের পছন্দ হয় না, বা আপনার ভাই বা বোন যখন আপনার জন্য বাবা- মা কে কমপ্লেইন কোরবে বলে তোমাকে ধমক দেই। তখন তারউপর রেগে গিয়ে মারধর করা বকাবকি করো।
তাই আমরা সেখানেই রাগ দেখায় যেখানে আমাদের কোনো ক্ষতি হও না। যেমন আমাদের ঘরে, যদি রাগ দেখায় তাইলে কি ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে হয় আমাদের। তখন বলবে বাবা আমার ও সম্পত্তি তে ভাগ আছে।
আর সেখানে boss কে বা teacher কে কিছু React করলে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। তাই আমরা রাগ ইচ্ছে করে ই করি, আমাদের রাগ আসে না।
কিন্তু আপনার কোনো শার্ট পছন্দ হলো না বা কারোর কথা পছন্দ হলো না। এরকম হয়। সে আপনার কথা শুনল না। সেটার জন্য আপনার রাগ হয়। কিন্তু রাগ আসে না। আমরা নিজের থেকেই করি।
আপনাকে রাগ দেখাতে বলছি, এরকম নয়। কিছু পরিস্তি তে আপনাকে রাগ দেখতে হবে। যদি ধরুন আপনার বাড়ি তে আপনি ছাড়া কেও নেই। আপনার বন্ধুও বান্ধবী আপনার বাড়ি তে এসেছে। আপনি থাকতে দিলেন। এতদূর অব্দি ঠিক আছে। কিন্তু যদি তারা আপনার বাড়িতে আলিঙ্গন করতে শুরু করে। আপনি কি বাধা দেবেন না? আপনাকে তো সেখানে স্ট্যান্ড নিতে হবে। হতে পারে আপনার বাড়ি, তা বলে এরকম কাজ করবে! আপনার রাগ হবে, খারাপ লাগবে। তখন আপনি উত্তেজিত হয়ে খারাপ কথা বলে দিতে পারেন বা আপনি একটু থেমে বিচার করে একটু কঠিন হয়ে ভালো ভাবে বলতে পারেন , "এটা আমার বাড়ি, এখানে থাকতে হলে ভালোভাবে থাকতে হবে। এসব চলবে না।' হবে না তো হবে না। বাশঃ!' অর্থাৎ রাগটা দেখানোর অনেক কৌশল আছে।
অস্বাস্থ্যকর রাগের লক্ষণ সর্বত্র; কর্মক্ষেত্রে, স্কুলে, এমনকি বাড়িতেও। কেবল রাস্তায় হাঁটতে আপনি সম্ভবত দেখেছেন যে কেউ এটি হারিয়ে ফেলছেন।
আপনি কি আপনার রাগ কে এড়াতে পারবেন?
সৎ গুরু বলেছেন
তুমি রাস্তাই হেটে যাওয়া মানুষদের দেখে আপনি এড়িয়ে বা avoids করতে পারবেন। কি করে আমরা ক্রোধ কে এড়িয়ে চলব? আপনি এইমাত্র রাগের অস্তিত্বের কথা ভাবলেন আর সঙ্গে সঙ্গে সেটা উপস্থিত হলো। আসলে রাগের কোনো অস্তিত্বই নেই। আসলে আপনি ক্রুদ্ধ হয়ে উঠছেন ও ক্রোধ আসন গ্রহণ করছে, যে কোনো স্থানে এবং তুমি গরম হয়ে উঠবে। রাগ আসে না , তুমি সেটাকে ধারণ করছো। এটা হটাৎ একটা দুর্ঘটনার মতো কিন্তু নিজের আয়ত্তের মধ্যে থাকে। তুমি যখন অসুখী তুমি তখন দুর্দশাগ্রস্ত। যদি বাইরের অবস্থা ভালো থাকে তাহলে তুমি ভালো, কিন্তু যদি বাইরের অবস্থা খারাপ থাকে তাহলে তুমি খারাপ। মানুষের জীবন ও সেরকম হয়। যদি আমি ভালো থাকি তাহলে আমার চারপাশে সবাই ভালো।এটাই বাস্তব। মানুষের চেতনাবোধ পরিস্তিতি তৈরি করে,কিন্তু এখন পরিস্থিতিই মানুষের চেতনাবোধ -বিবেক বানাচ্ছে।
অতিরিক্ত রাগের ফলে কি ক্ষতি হয়?
স্বাস্থ্যকর রাগের খুব কম উদাহরণ রয়েছে। এই কারণেই আমি এটি লিখছি। অস্বাস্থ্যকর রাগের মূল্য উপলব্ধি করা আপনাকে এটি পরিবর্তন করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
1. ক্রোধ ও বিরক্তি সৃষ্টি করে
অপ্রকাশিত ক্রোধ বিরক্তি ও চাপ সৃষ্টি করে যা সময়ের সাথে সাথে বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে স্টাফিং রাগ অসুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান অবদান।
মাথাব্যথা, রক্তচাপ বৃদ্ধি এবং উদ্বেগ রাগের অস্বাস্থ্যকর অভিব্যক্তির সাথে যুক্ত হয়েছে।
আমাদের Immune system ক্ষতি হয়। আমাদের শরীরে W.B.C বা শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমান কমে যায়।
অতিরিক্ত রাগ আমাদের Adrenaline hypothalamus সক্রিয় হয়ে যায় ও কিছু কেমিকেল উৎপাদন করে। আজ মেডিক্যাল সায়েন্স প্রমান করেছে আপনাদের রাগ আপনাদের শরীর কে বিষাক্ত করে। কেন তুমি তোমার শরীর এর কার্য প্রণালী কে বিষাক্ত করবে? এটা তোমার আত্মসচেতন (Conscious) আচরণ নয়। তুমি নিজেকে বিষাক্ত করছো। আপনার সমস্ত শরীরবৃত্ত কার্যকলাপ দূষিত হচ্ছে সেই উৎপাদিত বিষে।
তুমি নিজেকে অপ্রীতিকর ও নিরানন্দ করে তুলছো নিজের কারণে, এর একটাই কারণ তুমি তোমার থেকে কোনো নির্দেশ তোমার মন কে দিচ্ছ না।
আপনি যদি মনে করেন যে রাগকে ধারণ করা এটি প্রকাশ করার চেয়ে ভাল, তবে আবার চিন্তা করুন! দ্রুত হার্ট বীট এবং শ্বাস প্রশ্বাস: দেহকে শক্তি এবং অক্সিজেন সরবরাহের জন্য শরীরে হৃদস্পন্দন এবং শ্বাস প্রশ্বাসের হার বাড়ে যা বিপদকে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রয়োজন হবে।
ফ্যাকাশে বা ত্বকযুক্ত ত্বক:
চাপের প্রতিক্রিয়া ধরে রাখতে শুরু করার সাথে সাথে দেহের পৃষ্ঠতল অঞ্চলে রক্ত প্রবাহ হ্রাস পায় এবং পেশী, মস্তিষ্ক, পা এবং বাহুতে প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ফলস্বরূপ আপনি ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারেন, বা আপনার মাথা এবং মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সাথে সাথে আপনার মুখ ফ্যাকাশে এবং বিকল্প হতে পারে আঘাতের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষয় রোধ করার জন্য শরীরের রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
কাঁপুনি: চাপ বা বিপদের মুখে আপনার পেশীগুলি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং কর্মের জন্য লক্ষ্যযুক্ত হয়। এই উত্তেজনার ফলে কাঁপতে কাঁপতে বা কাঁপতে পারে।
আপনি কি জানেন না কি ঘটতে চলেছে। চিৎকার করা, আঘাত করা, জিনিস ছুঁড়ে দেওয়া বা আসলে ব্যথিত ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য থাকতে পারে hurt রাগ অভাবনীয়, এ কারণেই এটি এত ভয়ঙ্কর।
যখন কেউ তাদের ক্রোধ ধারণ করতে না পারে, আপনি নিরাপদ বোধ করবেন না।
ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করার কিছু কৌশল
১. আমাদের যখন রাগ হয় যার কারণে, তখন আমাদের মধ্যে একটা অনুভূতি বা ফিলিংস ওঠে আর সেই অনুভূতি অনুযায়ী আমরা জাজমেন্ট করি, আমাদের ভেতরে প্রথম থেকেই যেটা আগে থেকে পড়ে আছে,, যেটাকে পূর্ব অভিজ্ঞতা বলতে পারি বা সেটা আমাদের ইমেজ যেটাকে আমরা বিশ্বাস করি। তখন সেই মুহূর্তে আমরা রিঅ্যাক্ট করি। অর্থাৎ যখন আমাদের মধ্যে অনুভূতি ওঠে, তখন বিনা ভাবনা চিন্তা না করেই আমরা তার প্রতিক্রিয়া করি। তখন আমাদের কি করতে হবে? এই যে অনুভূতি আর প্রতিক্রিয়ায় মাঝে একটা ছোট্ট ফাঁকা জায়গা থাকে; যদি ও বা কিছু সেকেন্ডের জন্যে; এখানে আপনাকে একটা কমিটমেন্ট করতে হবে যে নেক্সট বার যখন আপনার রাগ আসবে তখন সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করবে না এবং ওই দু সেকেন্ড মুহূর্তের জন্য থেমে দেখবে যে আমাদের মধ্যে কি চলছে! বা তাকে রিঅ্যাক্ট বা প্রতিক্রিয়া করা যাবে কি যাবে না! যদি যায় তাহলে তোমার রাগটাকে কন্ট্রোল করে সহজভাবে বলার চেষ্টা করবে।
২.আপনার কোন পরিস্থিতে রাগ আসে? সেটা নোট করুন।
৩. আপনি কোন জিনিস গুলিকে প্রধান্য দেন সেগুলো নোট করুন।
৪. নিয়মিত মেডিটেশন করুন, ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।
৫. ঝুট ঝামেলা ও থ্রেড থেকে এড়িয়ে চলুন। অনেক ব্যক্তি আছে যারা নিজেদের কে ক্ষমতাবান দেখানোর কারণে রাগ দেখায়। সাইকোলজি মতে কমজোর ব্যক্তি ক্রোধ করে। ক্রোধ করা ব্যক্তি কখনো শক্তিশালী হয় না। যে ব্যক্তি দুর্বল সেই রাগ দেখায়।
৬. আনন্দদায়ক কার্যকলাপ যথাক্রমে চিত্র,সংগীত, জিম, যোগব্যাম, বাদ্যযন্ত্র বাজানো, বইপড়া প্রকৃতি যে কাজগুলো তোমার ভালো লাগে সে কাজগুলো কে তুমি বেশি করে করতে পারলে, তোমার রাগ নিজের থেকে কমে যাবে।
৭. শারীরিক কার্যকলাপ যথা ব্যম, ডান্স,হাঁটা, যোগা যেগুলো তোমার পছন্দ সেগুলো অভ্যাস করতে পারো।
আপনার অনুভূতিগুলি ক্রোধ বা বিরক্তিতে বেড়ে ওঠার আগে তাড়াতাড়ি স্বীকৃতি দেওয়ার উপায়গুলি সন্ধান করুন। যতটা সম্ভব চুপচাপ বেরিয়ে এসো।
I hope you have like this article on ANGRY MANAGEMENT tips. Do share your views, feedback or suggestion that we can add up in this article 😊. I would have to read your comments.
আপনারা আপনাদের মন্তব্য জানাবেন। আমার এই page টা share আর subscribe করবেন এরকম অনেক কিছু জানতে। page টা share করবেন যাতে অনেক মানুষ এটা পরে উপকৃত হয়।তারা যাতে নিজের সমস্যা থেকে নিজেকে বের কোরতে পারে, নিজেকে চিনতে পারে, নিজেকে motivate করতে পারে। এটা share করে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে দিন, যাতে তারা ও এটা পরের help পায়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন