Ornaments of Shankar ji's শঙ্করের অলংকারের সঠিক অর্থ কি ❓
. শঙ্করের অলংকারের সঠিক অর্থ কি ❓
. 💥 শঙ্করের অলংকার 💥
💑 শঙ্করের অলংকারের অর্থ হলো :- শঙ্করের অর্থ বাবা আমাদের বুঝিয়েছেন যে --- শঙ্কর হলো আমরা আত্মাদের তপস্বী রূপ l ইনি হলেন শিববাবার রচনা l শিববাবা সর্বপ্রথম তিন সুক্ষ্ম আকারী দেবতার রচনা করেছিলেন l এই সুক্ষ্ম আকারী দেবতা হলো সিম্বলিক অর্থাৎ প্রতীক মাত্র l এঁরা আলাদা তিনটি পুরীতে নিবাস করেন l
১ ) ব্রহ্মা ---- ইনি হলেন শিববাবার রথ l
২) বিষ্ণু ---- ইনি লক্ষ্মী - নারায়ণের কম্বাইন্ড স্বরূপ
৩) শঙ্কর -- আমাদের আত্মাদের তপস্বী স্বরূপ l
👩❤👩 শঙ্করের অলংকার 👩❤👩
১) মৃগছাল --- এর অর্থ, সর্ব সুখ ত্যাগকারী এক তপস্বীমূর্ত অবস্থার পরিচায়ক l দুনিয়ার বৈভবের আসক্তিশূন্য l
২) ডমরু --- আত্মা, পরমাত্মা এবং এই সৃষ্টিচক্রের রহস্যকে জানা এবং সত্য জ্ঞানের জয় ঘোষণা করে সেই জ্ঞানের সঙ্গে সমগ্র দুনিয়ার আত্মাদের পরিচিত করানো l পরমপিতার সন্দেশ জনে জনে পৌঁছে দেওয়া l
৩) ত্রিশূল ----- সমস্ত মানুষকে দৈহিক, দৈবিক এবং ভৌতিক তাপের দ্বারা নিজের পাপ কর্মের সাজা ভোগ করতে হয় l একেই ত্রিতাপ জ্বালা বা ত্রি + শূল অর্থাৎ তিন প্রকারের শূল বা কাঁটা বলা হয়, যেমন বাবলা গাছের কাঁটা যা শূলের মতো কষ্টদায়ক l একে ত্রিতাপ জ্বালা বলা হয় l
৪) সাপের মালা ---- এর অর্থ বিকার রূপী সাপকে নিজের অধীন করে স্বয়ং গলায় ধারণ করা l এ হলো বিজয় প্রাপ্তির নিদর্শন l
৫) চন্দ্র -- এ হলো উত্তরন আর অবতরণের কলার প্রতীক অর্থাৎ অবস্থা যেমনই হোক না কেন, দাতার স্মৃতি যেন সর্বদা থাকে l নিজেকে সংসারের সেবায় নিয়োজিত করা, আর চাঁদের উজ্জ্বল প্রকাশ বা নিজের শীতলতার কিরণের পরশ সেবায় বা লোক কল্যাণের কাজে লাগানো l
৬) নীলকণ্ঠ --- প্রত্যেক মানুষকে বাইরের সাংসারিক পরিবেশের কু প্রভাব অন্তর্মনে নেওয়া উচিত নয় l সংসারের কল্যাণে বাইরের দুনিয়ার খারাপ প্রভাব নিজের কণ্ঠের নীচে নামানো উচিত নয় l তা নিজের কণ্ঠেই ধারণ করা উচিত অর্থাৎ কণ্ঠেই বিলীন করা উচিত l আমাদের তপস্বী স্বরূপই এই কাজ করতে পারে l
৭) জটার থেকে গঙ্গা নির্গত হওয়া --- শিব বাবার থেকে প্রাপ্ত সত্য জ্ঞানের দুর্বার বেগকে নিজের বুদ্ধিরূপী পাত্রে ধারণ করা তথা নিজের তপস্বী স্বরূপের দ্বারা লোক কল্যাণ হেতু সত্য জ্ঞানকে এই সংসারে প্রত্যক্ষ করানো l
৮) তাণ্ডব নৃত্য --- মনের আসুরী বৃত্তির সংহার করতে হবে যা সমস্ত মনুষ্য আত্মার জন্য সহজ নয়
৯) ভস্ম -- দেহভাব থেকে পৃথক থাকা l সংসারে থেকেও সংসার থেকে, সংসারের সমস্ত পদার্থ থেকেমুক্ত থাকা l পৃথক এবং প্রিয় অর্থাৎ নিজের শরীরের অন্তকে সবসময় স্মরণে রাখা l
১০) বস্ত্ররহিত --- অশরীরি অবস্থায় স্থিত থাকা l নিজেকে আত্মা অনুভব করা l যখন আমরা দেহরূপী বস্ত্রের ত্যাগ করতে পারবো অর্থাৎ আত্ম - অভিমানী স্থিতিতে স্থিত হতে পারবো তখনই পরমাত্মার নৈকট্যের অনুভব করতে পারবো l
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন