ষোলোটি কলা সম্পন্ন আত্মার হওয়ার পরিভাষা
🙏 ওঁম্ শান্তি 🙏
ব্রহ্মাবাবা স্বয়ং ছিলেন ষোলো কলা সম্পন্ন আত্মা,এবং তিনি আজও সকল আত্মাদের ষোলো কলা সম্পন্ন হওয়ার প্রেরণা দেন।🙏🎯
🌺 *ষোলো কলা সম্পন্ন আত্মা হওয়ার পরিভাষা* 🌺
☀☀ *ষোলোটি কলা* 🌙🌙
🎨 *১) আরাম করার কলা ---*
যদি আমরা আমাদের জীবনে এটা নিশ্চিত বুদ্ধির দ্বারা ধারণ করতে পারি যে, বাস্তবিকে পরমাত্মাই হলেন মূখ্য নির্দেশক ও অভিনেতা, আর আমরা হলাম তাঁর উপকরণ মাত্র । তাহলেই আমরা শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও মানসিক সন্তুষ্টি এবং আরাম অনুভব করতে সক্ষম হব। আমাদের সর্বদা এটা স্মরণে রাখতে হবে যে, যা কিছু ঘটছে তা সবই হল আমাদের আগের জন্মে কৃত কর্মের কারণে।
তবেই আমরা ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতেও স্থিত থাকার সক্ষমতা লাভ করতে পারব।
🎨 *২) দৈবী ব্যবহার করার কলা ---*
সকলের প্রতি আমাদের প্রাকৃতিক ব্যবহার, নিঃস্বার্থ প্রেম, সম্মান, দিব্য পরিবার ভুক্ত এবং মধুরতা সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন।
🎨 *3) সুস্থ থাকার কলা ---*
আত্ম-অভিমানকে জাগ্রত করে সকল কার্য করাই হল সুস্থ জীবনের চাবি। অভিনয়ের গভীর রহস্যকে বুঝতে পারা এবং সব স্থিতিতে খুশী থাকাই হল সুস্থ থাকার কলা।
🎨 *৪) শিক্ষণের কলা ---*
শিক্ষণ কলার সার হল স্নেহ পূর্বক ব্যবহার।
🎨 *৫) পত্র লেখার কলা ---*
বাবার পত্র প্রত্যেকের জীবনে প্রেরণার স্রোত স্বরূপ কায্যকরী হয়ে থাকে, বাবার পত্র বার বার পড়ার ইচ্ছা জাগাতে হবে। বাবা নিজের পত্রকে অপরকে সাহায্য করতে ব্যবহার করতেন।
🎨 *৬) পালন করার কলা ---*
একজন মায়ের মত বাবা বাচ্চাদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, বলিদান ও সেবার সাথে গাইড করেছেন।
🎨 *৭) এগিয়ে যাওয়া এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কলা ---*
যেকোন পরীক্ষাই সম্মুখে আসুক না কেন, সর্বদা লক্ষের প্রতি ধ্যান রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
🎨 *৮) মনোরঞ্জনের কলা ---*
বাবা মনোরঞ্জন কারী বাচ্চাদের হাসাতে হাসাতে জ্ঞান প্রদান করতেন।
🎨 *৯) মিষ্টি কথার কলা ---*
মিষ্টতা ভরা শব্দের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি যে কোনো কঠিন পরিস্থিতিকে পার করতে সক্ষম হন। আত্ম-অভিমানী স্থিতিশীল ব্যক্তি সর্বদা মিষ্টি শব্দ বলেন।
🎨 *১০) অপরকে নিজের বানানোর কলা ---*
বাবা সম্বন্ধের মধ্যে আন্তরিকতা আনা এবং নিরাশ জনক আত্মাদের আশার আলো দেখাতেন।
🎨 *১১) নেতৃত্ব দেওয়ার কলা ---*
নেতার কাজ হল লোকেদের জাগৃত করা এবং তাদের প্রগতিশীল করার জন্য উদ্দীপনা দিতে হবে। বাবা অনায়াস প্রচেষ্টার দ্বারা কায্য কারী আত্মাদের এক নেতা বা শিক্ষকে পরিবর্তন করেন।
🎨 *১২) শেখার কলা ---*
শেখার তাৎপর্য কারো জীবন পরিবর্তন করার মধ্যে হয়ে থাকে। ব্রহ্মাবাবা বৃদ্ধাবস্থা অতিক্রম করেও সর্বদা নিজেকে এক ছাত্রের ন্যায় বিচার করতেন। শেখার জন্য জিজ্ঞাসার অতি প্রয়োজন।
🎨 *১৩) পরিবর্তন করার কলা ---*
বাবার বক্তব্য হল যে, জীবনের উদ্দেশ্য এবং কর্তব্য গুলো বুঝে নিতে পারলে, নিজের জীবনের পুরানো সংস্কার গুলো পরিবর্তন করাটা কোনো কঠিন নয়। স্বয়ং ব্রহ্মাবাবার জীবনে এই ধরনের পরিবর্তন স্পষ্ট ভাবে ঘটেছিল।
🎨 *১৪) ব্যর্থকে সমর্থ করার কলা ---*
নিজে স্বয়ং অপরের পুরানো সংস্কার (প্রবৃত্তি) আর পুরানো অভ্যাস গুলোকে বদলানোর কলা শেখানোর পর বাবা তাকে ভালো মানুষে পরিণত করেন তিনি সর্বদা পবিত্রতার সাথে খারাপ দুনিয়াকে ভালো পরিবর্তন করার মানসিকতা রাখেন।
🎨 *১৫) প্রশাসন করার কলা ---*
মহানতম শিল্পি অথবা ব্যবস্থাপক হলেন তিনি, যিনি অন্তত পক্ষে সাধনার সাথে সব কাজ সম্পূর্ণ করেন। বাবার আদর্শ বাক্য ছিল - "কাজ শুরু করলে সাধন সঞ্চালিত রূপে আসতে শুরু করে দেবে।" বাবা সর্বদা অপর ব্যক্তির জন্য নতুন কিছু করার এবং সেটা প্রত্যেকের জন্যই অবসর খুঁজতেন।
🎨 *১৬) সংগঠনের কলা ---*
এটা বাবার জীবনে সংঘটিত হয়েছিল যে, যদি কোনো বাচ্চার প্রতি বাবার বিশ্বাস থাকে, তাহলে বাবা এক সাগরের মতো তার দুর্বলতাকে অবশোষিত করে নিতেন আর এ ব্যাপারে অপরকে তার আভাস মাত্রও পেতে দিতেন না । 😊
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন